সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৪
শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০১৪
খোলা চিঠিতে আবেগঘন সাকিব
অনলাইন ডেস্ক
|
আপডেট: ১৫:৩৯, জুলাই ০৮, ২০১৪
১৬
Like
১৩২
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সাকিব আল হাসান ছয় মাসের জন্য নির্বাসিত। তাঁর এই নিষেধাজ্ঞায় দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। নানা কথা হচ্ছে এ শাস্তির পক্ষে-বিপক্ষে। কিন্তু সাকিব কী বলেন বিসিবির এ সিদ্ধান্তে? প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ফেসবুকে নিজের ভ্যারিফাইড পেজে ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশে আবেগঘন একটি লেখা পোস্ট করেছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।
ফেসবুকে সাকিব সবাইকে পবিত্র রমজান মাসের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, ‘অতীতে, এমনকি এখন পর্যন্ত আমি আপনাদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি, তাতে ভীষণ অভিভূত। সত্যি বলতে কি, এই মুহূর্তে আমি যদি আমার হূদয়ের অন্তস্থল আপনাদের দেখাতে পারতাম, তাহলে বুঝতেন আজকের এই আমি কেবল আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন আর বাংলাদেশের পতাকার জন্যই। এই ভালোবাসা, এই আবেগ আমি প্রতিমুহূর্তে ধরে রাখতে চেষ্টা করি। দেশ আমার কাছে সবকিছুরই ঊর্ধ্বে। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য প্রতি মুহূর্তে লড়াইয়ে নামতে আমি বদ্ধপরিকর। আশা করি, আপনারা সব সময়ই আমাকে আপনাদের হূদয়ে ঠাঁই দেবেন, আমার জন্য প্রার্থনা করবেন, যাতে আপনাদের জন্য সব সময়ই কিছু করতে পারি। আপনাদের সবাইকে ভালোবাসি।’
অনুশীলনে ফিরেছেন ডি মারিয়া
অনুশীলনে ফিরেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। এতে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে তাঁর খেলার সম্ভাবনা খানিকটা হলেও দেখা দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রয়টার্সের খবরে এ কথা জানানো হয়।
বিশ্বকাপে
আর্জেন্টিনার দুর্দান্ত আক্রমণভাগ প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে প্রত্যাশামতো তছনছ
করতে পারেনি। এর পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে খেলোয়াড়দের চোট।
কোয়ার্টার
ফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ঊরুর পেশির চোটে দলের বাইরে চলে গেলেন
অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। দক্ষিণ আমেরিকার সৃজনশীল খেলোয়াড়দের মধ্যে লিওনেল
মেসির পর ডি মারিয়াকে দ্বিতীয় ধরা হয়। খেলোয়াড়ের চোটে স্বাভাবিকভাবেই
চিন্তায় পড়ে যান আলেসান্দ্রো সাবেলা। আর্জেন্টিনা দলের সুসংবাদ, চোট কাটিয়ে
অনুশীলনে ফিরেছেন রিয়াল মাদ্রিদের এ তারকা।
শুক্রবার বেলো হরিজন্তে
দলের ঘাঁটিতে হালকা অনুশীলন করেছেন ডি মারিয়া। টুর্নামেন্টের মাঝপথে ছিটকে
পড়েছিলেন আক্রমণভাগের আরেক ভরসা সার্জিও আগুয়েরো। তিনি অবশ্য চোট কাটিয়ে
দলে ফিরেছেন। এখন ডি মারিয়া পুরোপুরি সেরে উঠলে পূর্ণশক্তি নিয়েই ফাইনালে
জার্মানির বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। ডি মারিয়া ফিরলে হয়তো আগুয়েরোর
প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ কমে যাবে। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড এসব
নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন। বরং দলের জয়ই তাঁর কাছে আসল।
আগুয়েরো বললেন,
‘আমাদের জিততেই হবে। কে খেলল আর কে খেলল না, সেটা কোনো ব্যাপার নয়। বুয়েনস
এইরেস ছাড়ার আগে আমরা এ ম্যাচটির (ফাইনাল) স্বপ্ন দেখেছি। সেটি যত আগ্রাসী ও
কঠিন প্রতিপক্ষ হোক না কেন।’
রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৪
আউটসোর্সিং
আউটসোর্সিং কাজ পাওয়ার টিপস
|
আপডেট: ০১:০৮, জানুয়ারি ৩০, ২০১৪
| প্রিন্ট সংস্করণ
ইন্টারনেটের মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ের কাজ অনেকেই করছেন, আবার অনেকে
নতুন করে শুরু করতে যাচ্ছেন। অনলাইনে সহজে আউটসোর্সিংয়ের কাজ পেতে কিছু
কৌশল অবলম্বন করলেই চলে। নিচে সে রকম কিছু কৌশল দেওয়া হলো।
অনেকেই যাঁরা চার-পাঁচটা কাজের (জব) জন্য আবেদন করেই জব (কাজ) পেয়ে যান। আবার কেউ কেউ ১০০টা আবেদন করেও জব পান না। এটা নির্ভর করে আপনি কত কম মূল্যে (রেটে) আবেদন করেছেন তার ওপর।
যেসব বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড না সেসব বায়ারের জবে আবেদন করবেন না। কারণ, কোনো কনট্রাক্টরকে (ফ্রিল্যান্সার) ভাড়া বা হায়ার করতে হলে তার পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড থাকতে হয়।
কোনো একটা জব পোস্ট করার পর যত তাড়াতাড়ি সেটিতে আবেদন করবেন ততই ভালো।
আপনি যত বেশি সময় অনলাইনে (ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে) থাকবেন ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলো পোস্ট করার এক-দুই ঘণ্টার মধ্যেই সম্পন্ন করে জমা দিতে হয়। যেমন ফেসবুকে বা অন্য কোনো সাইটে ভোট দেওয়া এবং কিছু ভোট সংগ্রহ করে দেওয়া; আবার হঠাৎ করে কোনো ওয়েবসাইটে সমস্যা হয়েছে তা ঠিক করে দেওয়া ইত্যাদি। কাজেই শুরুতে বেশি সময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন। যাতে বায়ার আপনাকে কোনো বার্তা পাঠালে সঙ্গে সঙ্গে তার প্রত্যুত্তর দিতে পারেন।
মার্কেটপ্লেসগুলোতে দেখবেন প্রতি মিনিটে নতুন নতুন জব পোস্ট করা হচ্ছে, সেগুলোতে আবেদন করুন। যেসব জবে কোনো কনট্রাক্টরের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, সেসবে আবেদন না করাই ভালো। কারণ বায়ার যদি এদের মধ্য পছন্দের কনট্রাক্টর পেয়ে যায় তাহলে আর অন্য কনট্রাক্টরের প্রোফাইল চেক করে দেখবে না।
যেসব জবে শর্ত দেওয়া আছে এবং সেগুলো যদি আপনি পূরণ করতে না পারেন তাহলে আবেদন না করাই ভালো।
যাঁরা ওডেস্কে দুই-তিনটা কাজ করেছেন, এখন বেশি মূল্য হারে আবেদন করতে চান, তাঁরা যে জবটিতে আবেদন করবেন সে জবের নিচে দেখুন বায়ারের আগের জবগুলোর তালিকা দেওয়া আছে। সেখানে যদি দেখেন বায়ার তাঁর আগের জবগুলোতে বেশি ডলার দিয়ে অন্য কনট্রাক্টরকে কাজ করিয়েছেন, তাহলে আবেদন করতে পারেন। আর যেসব বায়ার আগের জবগুলোতে বেশি ডলারে কাজ করায়নি, তাদের জবে বেশি রেটে আবেদন না করাই ভালো।
—মো. আমিনুর রহমান
অনেকেই যাঁরা চার-পাঁচটা কাজের (জব) জন্য আবেদন করেই জব (কাজ) পেয়ে যান। আবার কেউ কেউ ১০০টা আবেদন করেও জব পান না। এটা নির্ভর করে আপনি কত কম মূল্যে (রেটে) আবেদন করেছেন তার ওপর।
যেসব বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড না সেসব বায়ারের জবে আবেদন করবেন না। কারণ, কোনো কনট্রাক্টরকে (ফ্রিল্যান্সার) ভাড়া বা হায়ার করতে হলে তার পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড থাকতে হয়।
কোনো একটা জব পোস্ট করার পর যত তাড়াতাড়ি সেটিতে আবেদন করবেন ততই ভালো।
আপনি যত বেশি সময় অনলাইনে (ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে) থাকবেন ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলো পোস্ট করার এক-দুই ঘণ্টার মধ্যেই সম্পন্ন করে জমা দিতে হয়। যেমন ফেসবুকে বা অন্য কোনো সাইটে ভোট দেওয়া এবং কিছু ভোট সংগ্রহ করে দেওয়া; আবার হঠাৎ করে কোনো ওয়েবসাইটে সমস্যা হয়েছে তা ঠিক করে দেওয়া ইত্যাদি। কাজেই শুরুতে বেশি সময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন। যাতে বায়ার আপনাকে কোনো বার্তা পাঠালে সঙ্গে সঙ্গে তার প্রত্যুত্তর দিতে পারেন।
মার্কেটপ্লেসগুলোতে দেখবেন প্রতি মিনিটে নতুন নতুন জব পোস্ট করা হচ্ছে, সেগুলোতে আবেদন করুন। যেসব জবে কোনো কনট্রাক্টরের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, সেসবে আবেদন না করাই ভালো। কারণ বায়ার যদি এদের মধ্য পছন্দের কনট্রাক্টর পেয়ে যায় তাহলে আর অন্য কনট্রাক্টরের প্রোফাইল চেক করে দেখবে না।
যেসব জবে শর্ত দেওয়া আছে এবং সেগুলো যদি আপনি পূরণ করতে না পারেন তাহলে আবেদন না করাই ভালো।
যাঁরা ওডেস্কে দুই-তিনটা কাজ করেছেন, এখন বেশি মূল্য হারে আবেদন করতে চান, তাঁরা যে জবটিতে আবেদন করবেন সে জবের নিচে দেখুন বায়ারের আগের জবগুলোর তালিকা দেওয়া আছে। সেখানে যদি দেখেন বায়ার তাঁর আগের জবগুলোতে বেশি ডলার দিয়ে অন্য কনট্রাক্টরকে কাজ করিয়েছেন, তাহলে আবেদন করতে পারেন। আর যেসব বায়ার আগের জবগুলোতে বেশি ডলারে কাজ করায়নি, তাদের জবে বেশি রেটে আবেদন না করাই ভালো।
—মো. আমিনুর রহমান
জাতীয় লিগ
তামিমের ১ আর মুমিনুলের ৪!
৭ উইকেটে ৪২৪ রানে প্রথম দিন শেষ করেছিল রাজশাহী। দ্বিতীয় দিনে ২৫১ রান যোগ করল, খোয়াল মাত্র ২টি উইকেটে। ১৩৫.৩ ওভারে ৯ উইকেটে ৬৭৫ করে ইনিংস ঘোষণা করল রাজশাহী। রান রেট ছিল ৪.৯৮। গতকাল
সপ্তম উইকেট জুটিতে রেকর্ড ৩৪৭ রান তোলেন ফরহাদ রেজা ও সানজামুল ইসলাম। সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ তো বটেই, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সেটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। আজ মুক্তার আলীর সঙ্গে অষ্টম উইকেট জুটিতে ২২৪ তুললেন ফরহাদ। মুক্তার খেলেছেন ১৪৮ বলে ১৬৮ রানের দারুণ এক ইনিংস। চট্টগ্রামের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আলী আকবর।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চট্টগ্রামের বিপর্যয়। মুক্তার আলীর করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুই বলে কোনো রান না করেই ফিরে যান নাফিস ইকবাল ও মাহবুবুল করিম। হ্যাটট্রিকটা অবশ্য করতে পারেননি রাজশাহীর এ বোলার। বড় ভাইয়ের মতো ব্যর্থ হয়েছেন ছোট ভাইও। শফিউল ইসলামের বোলে বোল্ড হয়ে মাত্র ১ রানে ফিরেছেন তামিম। টেস্টে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মুমিনুল হক আউট হয়েছেন মাত্র ৪ করে। দিনশেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ৪১ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৫। এখনো পিছিয়ে ৫১০ রানে।
৭১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা চট্টগ্রামের এই ম্যাচে যেন কোনো আশাই নেই। যদিও রাজশাহীও ৭৭ রানে হারিয়েছিল ৬ উইকেট। কিন্তু এর পরই দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় মুশফিকুর রহিমের দল।
কক্সবাজারে ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে খুলনা বিভাগ আজ ১৬৭ রান যোগ করে অলআউট হয়েছে ২১৩ রানে। খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ নিজামউদ্দিন রিপন করেছেন ৬১ ও তুষার ইমরান করেছেন ৫৫। ঢাকা মহানগরের মাহমুদউল্লাহ নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে মহানগরের সংগ্রহ ২৯ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৪। শামসুর রহমান অপরাজিত ৬৯ রানে। মহানগরের ৩টি উইকেটই নিয়েছেন আবদুর রাজ্জাক। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন রাজ্জাক। ঢাকা মহানগর দ্বিতীয় দিনে এগিয়ে ৬৩ রানে।
ফতুল্লায় সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে রংপুরের সংগ্রহ ৩৯১। আগের দিনের ৭ উইকেটে ২৫৬ রানের সঙ্গে আজ ১৩৫ রান যোগ করে অলআউট হয়েছে রংপুর। শতক পেয়েছেন রংপুরের তানভীর হায়দার। নাসুম আহমেদের বলে ফেরার আগে করেছেন ১১১। বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম একাই নিয়েছেন ৭ উইকেট! প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৩২। এখনো পিছিয়ে ২৫৯ রানে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে ১৩ রানে এগিয়ে ঢাকা বিভাগ। আগের দিনের ১৪ রানের সঙ্গে আজ ৪ উইকেটে ৩২২ রান যোগ করেছে ঢাকা বিভাগ। শতক ছুঁয়েছেন ঢাকার তাইবুর পারভেজ। কামরুল ইসলামের বলে ফেরার আগে করেছেন ১০২। এছাড়া ওপেনার আবদুল মজিদ করেছেন ৮৬। শুভাগত হোম উইকেটে রয়েছেন ৬৫ রানে।
PAHELA BAISHAKH CELEBRATIONS
Published Date: April 10, 2014
Change vs Tradition
Change is Good RAYAAN IBTESHAM CHOWDHURY Cultures have never been
static. In fact if there is any one law that defines how traditions and
customs thrive, it is change. But at the same time our culture is what
makes us who we are. So it's only natural for us to be a bit taken aback
when we wake up one morning to realise that the methods with which we
practised things are changing. But despite our love for our traditions
and our customs, let's not forget that change and evolution will always
remain the driving force behind any society and culture is only a
reflection of the lives of people within that society. While there are
some minor disputes, it is generally known that the Bangla Year or
Bongabdo system was started by the...
শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৪
আন্দোলনে যেতে আরও সময় নেবে বিএনপি
রিয়াদুল করিম
|
আপডেট: ১৭:০৩, এপ্রিল ০৪, ২০১৪
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একাধিকবার বলেছেন, উপজেলা
নির্বাচনের পর সরকার পতন আন্দোলন শুরু করবে তাঁর দল। তবে উপজেলা নির্বাচন
শেষে দলীয় সূত্রগুলো বলছে, এখনই আন্দোলনে নামছে না দলটি। দলটির
নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা মনে করছেন, আন্দোলন করার কোনো পরিবেশ এখন
নেই। তাঁরা নিজেরাও এ জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নন।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ আবার মাঠের আন্দোলন জোরদার করার চিন্তা করছে দলটি। এ সময়ের মধ্যে দল গোছানোর কিছু কাজ করা হবে। তবে দল গোছানোর ঘোষণা দেওয়ার দুই মাসেও এ কাজে তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
এবার আন্দোলনের কৌশল পরিবর্তনেরও চিন্তা করা হচ্ছে। আন্দোলনে যাওয়ার আগে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঢাকার বাইরে কিছু জনসভা করবেন।
আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের হামলায় বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী মারাত্মভাবে আহত হয়েছেন, হাজার হাজার নেতা-কর্মী মামলার আসামি, তাদের পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এমনকি নির্বাচিতদের নামেও মামলা দেওয়া হচ্ছে। সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এমন ভয়াবহ অবস্থার কারণে হয়তো একটু সময় লাগবে। কিন্তু আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। ওই নির্বাচনের এক মাসের মাথায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দল গুছিয়ে আবার আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন। এরপর গত ১ মার্চ রাজবাড়ীর জনসভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, উপজেলা নির্বাচনের পরই আন্দোলন শুরু করবে তাঁর দল। ৯ মার্চ আইনজীবীদের সংবর্ধনায়ও একই কথা বলেন। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গত ২৯ মার্চ খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘বেশি দেরি করলে হয়তো দেশের আরও বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। আন্দোলন আরও তীব্র হবে।’ বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের উদ্দেশে বলেন, ‘ভবিষ্যতেও চাপের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সুতরাং সম্মান ও চামড়া বাঁচাতে চাইলে অবিলম্বে সংসদ থেকে পদত্যাগ করুন।’ ওই দিনও তিনি বলেছিলেন, উপজেলা নির্বাচনের পর সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে।
গত ৩১ মার্চ পঞ্চম দফার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
তবে এখন দলের কয়েকটি সূত্র বলছে, উপজেলা নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও এখনই আন্দোলন শুরু করছে না বিএনপি। তাঁর কারণ, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহতের আন্দোলনের ধকল এখনো পুরোপুরি কাটানো যায়নি। এর মধ্যে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মী জেল খাটছেন। হাজার হাজার নেতা-কর্মী মামলার আসামি। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির এক সদস্য কারাগারে। স্থায়ী কমিটিসহ শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব নেতাই বিভিন্ন মামলার আসামি। তাঁরা মনে করছেন, সরকার এখন মারমুখী অবস্থানে। এখন আন্দোলনে গেলে বিএনপির শক্তি আরও ক্ষয় হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, এখন আন্দোলন করার মতো কোনো পরিবেশ নেই। কথা বললেই সরকার শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। মামলা দিচ্ছে। তাই আপাতত বিএনপি রাজপথের আন্দোলনে যাচ্ছে না।
দলীয় কয়েকটি সূত্র জানায়, আন্দোলন যেমন এখনই হচ্ছে না, তেমনি থমকে আছে দল গোছানোর কার্যক্রমও। খালেদা জিয়ার ঘোষণার পর পর দল গোছানোর কিছু তত্পরতা দেখা গেলেও এখন কার্যক্রম মোটামুটি থমকে আছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে খালেদা জিয়া এক মাসের মধ্যে নতুন কমিটি করতে বলেছিলেন। প্রায় দুই মাস হতে চললেও এখন পর্যন্ত কোনো ওয়ার্ড কমিটিও হয়নি। নেতৃত্বে আছেন আগের নেতারাই। এ কমিটি গঠন নিয়ে দলের মধ্যে বিরোধ চাঙা হয়ে উঠলে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া থমকে যায়।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারির স্থায়ী কমিটির সভায় ছাত্রদলের কমিটি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে খালেদা জিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়ে দেন, নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে শিগগির বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কারাগার থেকে বের হলে করা হবে কেন্দ্রীয় কমিটি। সূত্র জানায়, ছাত্রদল পুনর্গঠনের সে উদ্যোগও থেমে গেছে। বরং নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে কমিটি করার ঘোষণায় সংগঠনটির ছাত্র-অছাত্র নেতাদের মধ্যে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।
দলের সর্বশেষ স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত ছিল, উপজেলা নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করা হবে। কিন্তু দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন কারাগারে। দলীয় সূত্র বলছে, জুন-জুলাইয়ের আগে কাউন্সিল করা সম্ভব না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ আবার মাঠের আন্দোলন জোরদার করার চিন্তা করছে দলটি। এ সময়ের মধ্যে দল গোছানোর কিছু কাজ করা হবে। তবে দল গোছানোর ঘোষণা দেওয়ার দুই মাসেও এ কাজে তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
এবার আন্দোলনের কৌশল পরিবর্তনেরও চিন্তা করা হচ্ছে। আন্দোলনে যাওয়ার আগে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঢাকার বাইরে কিছু জনসভা করবেন।
আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের হামলায় বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী মারাত্মভাবে আহত হয়েছেন, হাজার হাজার নেতা-কর্মী মামলার আসামি, তাদের পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এমনকি নির্বাচিতদের নামেও মামলা দেওয়া হচ্ছে। সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এমন ভয়াবহ অবস্থার কারণে হয়তো একটু সময় লাগবে। কিন্তু আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। ওই নির্বাচনের এক মাসের মাথায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দল গুছিয়ে আবার আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন। এরপর গত ১ মার্চ রাজবাড়ীর জনসভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, উপজেলা নির্বাচনের পরই আন্দোলন শুরু করবে তাঁর দল। ৯ মার্চ আইনজীবীদের সংবর্ধনায়ও একই কথা বলেন। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গত ২৯ মার্চ খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘বেশি দেরি করলে হয়তো দেশের আরও বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। আন্দোলন আরও তীব্র হবে।’ বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের উদ্দেশে বলেন, ‘ভবিষ্যতেও চাপের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সুতরাং সম্মান ও চামড়া বাঁচাতে চাইলে অবিলম্বে সংসদ থেকে পদত্যাগ করুন।’ ওই দিনও তিনি বলেছিলেন, উপজেলা নির্বাচনের পর সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে।
গত ৩১ মার্চ পঞ্চম দফার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
তবে এখন দলের কয়েকটি সূত্র বলছে, উপজেলা নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও এখনই আন্দোলন শুরু করছে না বিএনপি। তাঁর কারণ, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহতের আন্দোলনের ধকল এখনো পুরোপুরি কাটানো যায়নি। এর মধ্যে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মী জেল খাটছেন। হাজার হাজার নেতা-কর্মী মামলার আসামি। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির এক সদস্য কারাগারে। স্থায়ী কমিটিসহ শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব নেতাই বিভিন্ন মামলার আসামি। তাঁরা মনে করছেন, সরকার এখন মারমুখী অবস্থানে। এখন আন্দোলনে গেলে বিএনপির শক্তি আরও ক্ষয় হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, এখন আন্দোলন করার মতো কোনো পরিবেশ নেই। কথা বললেই সরকার শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। মামলা দিচ্ছে। তাই আপাতত বিএনপি রাজপথের আন্দোলনে যাচ্ছে না।
দলীয় কয়েকটি সূত্র জানায়, আন্দোলন যেমন এখনই হচ্ছে না, তেমনি থমকে আছে দল গোছানোর কার্যক্রমও। খালেদা জিয়ার ঘোষণার পর পর দল গোছানোর কিছু তত্পরতা দেখা গেলেও এখন কার্যক্রম মোটামুটি থমকে আছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে খালেদা জিয়া এক মাসের মধ্যে নতুন কমিটি করতে বলেছিলেন। প্রায় দুই মাস হতে চললেও এখন পর্যন্ত কোনো ওয়ার্ড কমিটিও হয়নি। নেতৃত্বে আছেন আগের নেতারাই। এ কমিটি গঠন নিয়ে দলের মধ্যে বিরোধ চাঙা হয়ে উঠলে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া থমকে যায়।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারির স্থায়ী কমিটির সভায় ছাত্রদলের কমিটি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে খালেদা জিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়ে দেন, নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে শিগগির বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কারাগার থেকে বের হলে করা হবে কেন্দ্রীয় কমিটি। সূত্র জানায়, ছাত্রদল পুনর্গঠনের সে উদ্যোগও থেমে গেছে। বরং নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে কমিটি করার ঘোষণায় সংগঠনটির ছাত্র-অছাত্র নেতাদের মধ্যে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।
দলের সর্বশেষ স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত ছিল, উপজেলা নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করা হবে। কিন্তু দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন কারাগারে। দলীয় সূত্র বলছে, জুন-জুলাইয়ের আগে কাউন্সিল করা সম্ভব না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যসমূহ (Atom)

