লেবেল

রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৪


জাতীয় লিগ

তামিমের ১ আর মুমিনুলের ৪!

ক্রীড়া প্রতিবেদক | আপডেট: ২০:৪১, এপ্রিল ১৩, ২০১৪
চট্টগ্রামের বিপক্ষে মুক্তার আলীর সঙ্গে অষ্টম উইকেট জুটিতে ২২৪ তুলেছেন ফরহাদ। ছবি: প্রথম আলো
দিনটি আজও ফরহাদ রেজার। জাতীয় লিগের দ্বিতীয় দিনে ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতকটি তুলে নিয়েছিলেন দ্রুতই। তবে অনবদ্য ইনিংসটি থেমেছে ২৫৯ রানে। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংসের তালিকায় ফরহাদ জায়গা এখন পঞ্চম স্থানে। ফরহাদের দিনে চট্টগ্রামের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে রাজশাহী বিভাগ। ফরহাদের ব্যাট চওড়া হলেও জাতীয় দলের অন্য দুই ব্যাটসম্যান চট্টগ্রামের তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক ছিলেন ভীষণ নিষ্প্রভ।
৭ উইকেটে ৪২৪ রানে প্রথম দিন শেষ করেছিল রাজশাহী। দ্বিতীয় দিনে ২৫১ রান যোগ করল, খোয়াল মাত্র ২টি উইকেটে। ১৩৫.৩ ওভারে ৯ উইকেটে ৬৭৫ করে ইনিংস ঘোষণা করল রাজশাহী। রান রেট ছিল ৪.৯৮। গতকাল
সপ্তম উইকেট জুটিতে রেকর্ড ৩৪৭ রান তোলেন ফরহাদ রেজা ও সানজামুল ইসলাম। সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ তো বটেই, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সেটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। আজ মুক্তার আলীর সঙ্গে অষ্টম উইকেট জুটিতে ২২৪ তুললেন ফরহাদ। মুক্তার খেলেছেন ১৪৮ বলে ১৬৮ রানের দারুণ এক ইনিংস। চট্টগ্রামের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আলী আকবর।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চট্টগ্রামের বিপর্যয়। মুক্তার আলীর করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুই বলে কোনো রান না করেই ফিরে যান নাফিস ইকবাল ও মাহবুবুল করিম। হ্যাটট্রিকটা অবশ্য করতে পারেননি রাজশাহীর এ বোলার। বড় ভাইয়ের মতো ব্যর্থ হয়েছেন ছোট ভাইও। শফিউল ইসলামের বোলে বোল্ড হয়ে মাত্র ১ রানে ফিরেছেন তামিম। টেস্টে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মুমিনুল হক আউট হয়েছেন মাত্র ৪ করে। দিনশেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ৪১ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৫। এখনো পিছিয়ে ৫১০ রানে।
৭১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা চট্টগ্রামের এই ম্যাচে যেন কোনো আশাই নেই। যদিও রাজশাহীও ৭৭ রানে হারিয়েছিল ৬ উইকেট। কিন্তু এর পরই দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় মুশফিকুর রহিমের দল।
কক্সবাজারে ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে খুলনা বিভাগ আজ ১৬৭ রান যোগ করে অলআউট হয়েছে ২১৩ রানে। খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ নিজামউদ্দিন রিপন করেছেন ৬১ ও তুষার ইমরান করেছেন ৫৫। ঢাকা মহানগরের মাহমুদউল্লাহ নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে মহানগরের সংগ্রহ ২৯ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৪। শামসুর রহমান অপরাজিত ৬৯ রানে। মহানগরের ৩টি উইকেটই নিয়েছেন আবদুর রাজ্জাক। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন রাজ্জাক। ঢাকা মহানগর দ্বিতীয় দিনে এগিয়ে ৬৩ রানে।
ফতুল্লায় সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে রংপুরের সংগ্রহ ৩৯১। আগের দিনের ৭ উইকেটে ২৫৬ রানের সঙ্গে আজ ১৩৫ রান যোগ করে অলআউট হয়েছে রংপুর। শতক পেয়েছেন রংপুরের তানভীর হায়দার। নাসুম আহমেদের বলে ফেরার আগে করেছেন ১১১। বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম একাই নিয়েছেন ৭ উইকেট! প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৩২। এখনো পিছিয়ে ২৫৯ রানে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে ১৩ রানে এগিয়ে ঢাকা বিভাগ। আগের দিনের ১৪ রানের সঙ্গে আজ ৪ উইকেটে ৩২২ রান যোগ করেছে ঢাকা বিভাগ। শতক ছুঁয়েছেন ঢাকার তাইবুর পারভেজ। কামরুল ইসলামের বলে ফেরার আগে করেছেন ১০২। এছাড়া ওপেনার আবদুল মজিদ করেছেন ৮৬। শুভাগত হোম উইকেটে রয়েছেন ৬৫ রানে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন